প্রাণের সন্ধানে শনির চাঁদে ‘সাপ’ পাঠাচ্ছে নাসা

0

প্রাণের সন্ধানে শনির চাঁদে ‘সাপ’ পাঠাচ্ছে নাসা

আরও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির খবর...

পৃথিবীর বাইরে প্রাণ আছে কিনা তা জানতে সৌরজগতের শনির একটি চাঁদে একটি ‘সাপ’ পাঠাতে চায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিশেষ সাপটি মহাকাশ অভিযানের জন্য নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি তৈরি করেছে। এটি আক্ষরিক অর্থে একটি দৈত্যাকার রোবট সাপ। এই রোবোটিক সাপটির নাম ছিল Exobiology Extant Life Surveyor (EELS)। একবার সম্পূর্ণ হলে, এটি শনির চাঁদ এনসেলাডাসে পাঠানো হবে। এনসেলাডাস শনির 83টি চাঁদের মধ্যে একটি। এই চাঁদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর পৃষ্ঠ বরফে ঢাকা। এই কারণেই চাঁদ সৌরজগতের অন্যতম সাদা এবং উজ্জ্বল প্রতিফলক। বিজ্ঞানীরা সন্দেহ করেন যে বরফের এই স্তরের নীচে জল রয়েছে এবং সেখানে জীবন থাকতে পারে। মূলত, এই সাগর ও সাগরে প্রাণের সম্ভাবনা আছে কিনা তা নির্ণয় করতেই এই সাপকে সেখানে পাঠানো হয়।


নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি অনুসারে, EELS একটি স্ব-চালিত, সাপের মতো রোবট। এটি বেশ কয়েকটি ঘূর্ণায়মান ড্রাইভ ইউনিট নিয়ে গঠিত। এই ঘূর্ণনশীল প্রপালশন ইউনিটগুলি EELS-কে শক্ত পৃষ্ঠে এবং জলে সরাতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে এই ঘূর্ণায়মান ডিভাইসগুলি EELS-কে বরফের কঠিন স্তর ভেদ করতে এবং নীচের জলে প্রবেশ করতে দেবে।


এই নাসার রোবটটি 16 ফুট লম্বা এবং 220 পাউন্ড ওজনের। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবেশে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এই রোবট সাপের মাথায় সংযুক্ত একটি উচ্চ প্রযুক্তির ক্যামেরা যা এর চারপাশের 3D চিত্র ধারণ করে এবং সেগুলিকে মাটিতে একটি নিয়ামকের কাছে পাঠায়। এছাড়াও, অন্যান্য বৈজ্ঞানিক তথ্য যেমন প্রবাহ, তাপমাত্রা ইত্যাদি রেকর্ড করার জন্য অন্যান্য ডিভাইসগুলি শরীরের বিভিন্ন অংশে সংযুক্ত থাকে।


আনুষ্ঠানিকভাবে কবে নাগাদ সাপকে এনসেলাডাসে পাঠানো হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এনসেলাডাসে পাঠানো হতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top