ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, স্টারলিংক বাংলাদেশের অবকাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত হলে লাখো মানুষের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটি গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণফোনের সম্প্রসারণ হিসেবে কাজ করবে, যা গ্রামের নারী ও তরুণদের বিশ্বব্যাপী সংযুক্ত করবে এবং তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলবে।
ইলন মাস্ক গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ মডেলের প্রশংসা করেন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে এর বৈশ্বিক প্রভাব স্বীকার করেন। তিনি জানান, বহু বছর ধরে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণফোনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত। মাস্কের মতে, স্টারলিংকের মতো প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বাংলাদেশে উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও এগিয়ে নিতে পারে।
ড. ইউনূস জাতীয় উন্নয়নের জন্য এই উদ্যোগের তাৎপর্য তুলে ধরে ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। মাস্ক এতে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, "আমি এটির জন্য অপেক্ষা করছি।"
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসডিজির প্রধান সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ এবং স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার ও গ্লোবাল এনগেজমেন্ট অ্যাডভাইজার রিচার্ড গ্রিফিথস।
উল্লেখ্য, স্টারলিংক সেবা বাংলাদেশে চালু হলে দেশের ডিজিটাল অবকাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে এবং এটি দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।