গত ছয় মাস ধরে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছিল যে, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পেছনে বাইডেন প্রশাসনের অদৃশ্য শক্তির ভূমিকা রয়েছে। তবে, সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনে মার্কিন ডিপ স্টেটের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ওয়াশিংটন সফররত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর, প্রেস ব্রিফিংকালে এক ভারতীয় সাংবাদিক এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। সাংবাদিক জানতে চান, "মিস্টার প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ইস্যুতে আপনি কী বলতে চান? আমরা দেখেছি, বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির শাসন পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল স্পষ্ট। এমনকি মোহাম্মদ ইউনুস জুনিয়র সরোসের সাথেও দেখা করেছেন। সুতরাং বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?"
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জবাবে বলেন, "না, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা নেই। এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বহুদিন ধরে কাজ করছেন। আমি দেখেছি, এটা নিয়ে শত শত বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিষয়ে আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপরই ছেড়ে দিচ্ছি।" এ সময় তিনি পাশে বসা নরেন্দ্র মোদির দিকে ইঙ্গিত করেন।
তবে, ট্রাম্পের এই ইঙ্গিতের পরও নরেন্দ্র মোদি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। পরিবর্তে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে কথা বলা শুরু করেন।
এই ঘটনার পর বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করে। তাদের তৈরি মিসলিডিং শিরোনামগুলো ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল, "বাংলাদেশ ইস্যু ভারতের উপরে ছাড়লেন ট্রাম্প।"
কিছু দেশীয় সংবাদমাধ্যম এসব বিভ্রান্তিকর খবরের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে দেরি করলেও, পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করে।
প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড: বাংলাদেশ রাজনৈতিক পরিবর্তন, ট্রাম্প মোদি বৈঠক, শেখ হাসিনা সরকার পতন, মার্কিন ডিপ স্টেট, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম, বিভ্রান্তিকর প্রচারণা, রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু, মোহাম্মদ ইউনুস, জুনিয়র সরোস, বাইডেন প্রশাসন, নরেন্দ্র মোদি, ডোনাল্ড ট্রাম্প, হোয়াইট হাউস, ওভাল অফিস, প্রেস ব্রিফিং, ভারতীয় সাংবাদিক, মিসলিডিং শিরোনাম, ইন্টারনেট ভাইরাল, দেশীয় সংবাদমাধ্যম, দুঃখ প্রকাশ।