ডামি ভোটার সৃষ্টিতে এখন নজর দিয়েছে সরকার: মঈন খান

0

ডামি ভোটার সৃষ্টিতে এখন নজর দিয়েছে সরকার: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারির একতরফা ও বিভক্তিমূলক নির্বাচন দেশে-বিদেশে উপহাস ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সরকার তার নিজস্ব দায়বদ্ধতা ও মরিয়া উদ্যোগে একে প্রতিদিন প্রহসন ও সহিংসতার নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। ভুয়া প্রার্থী ও ভুয়া দল তৈরি করে সন্তুষ্ট না হয়ে তারা এখন জোরপূর্বক জাল ভোটার তৈরির দিকে নজর দিয়েছে।

 শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মঈন খান এ কথা বলেন। আজ তার বাসভবনের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছে। এসব বিষয় ও নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরতেই আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন।


মঈন খানের সঙ্গে আজ উপস্থিত ছিলেন হিজবের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সালিমা রেহমান।


বিএনপি নেতা মঈন খান এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, “বিএনপি এবং ৬২টি গণতান্ত্রিক দলের পাশাপাশি তথাকথিত নির্বাচন সকল শ্রেণী-পেশার ভোটার, সকল বিবেকবান ও সচেতন নাগরিকদের দ্বারা বয়কট ও প্রত্যাখ্যান করেছে।” অবৈধ সরকার এই আবেদনময়ী বানরের লেগ-শেয়ারিং চুক্তিকে একটি "অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন" হিসাবে খারিজ করে তার ক্ষমতা রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এজন্য আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের কিছু মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।



জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অর্থহীন নির্বাচনে কৃত্রিম ভোটারদের উপস্থিতি দেখানোর জন্য বিভক্ত সরকার যেভাবে সহিংসতার আশ্রয় নিচ্ছে তা নৈতিকভাবে দেশবিরোধী এবং রাজনৈতিকভাবে অনৈতিক বলে মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, এটা শিশুতোষ। তাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কৌতুক শুধু বাংলাদেশের ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ন করেনি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের ইস্যুকেও শোষকদের নির্লজ্জতা ও দেউলিয়াত্বের প্রতীকে পরিণত করেছে। ভোটার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য তাদের কৌশলের পুরো তালিকাটি এখন বিদেশে অংশগ্রহণকারীদের কাছে স্পষ্ট, যা বিদেশী মিডিয়ার বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়েছে।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান আরও বলেন, নিশিরত এমপিরা নির্বাচনে না গেলে লাখ লাখ সুবিধাভোগী আর্থিক সুবিধা হারাবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন সারাদেশে। বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ মানুষ বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা পাচ্ছেন। এটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সমস্ত সরকারের মধ্যে একটি চলমান প্রক্রিয়া। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই অঞ্চলে সৌভাগ্যবান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশিকা জারি করেছে। তারা বলছেন, ৭ জানুয়ারি ভোট না দিলে তাদের সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে।


মঈন খান আক্ষেপ করে বলেন, অনেক জায়গায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জবরদস্তিমূলক কৌশলে সরকারি সুবিধাভোগী কার্ড বাজেয়াপ্ত করতে শুরু করেছেন। সুবিধাভোগীরা ঘরে ঘরে গিয়ে হুমকিও পাচ্ছেন যে তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে প্রকাশ্যে ভোট না দিলে তাদের কার্ড ফেরত পাবেন না। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা ভোটে জোর করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।


মঈন খান আরও বলেন, সারাদেশে প্রায় ২০ লাখ সরকারি কর্মচারী ডাকযোগে ভোট দিতে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের একটি বড় অংশের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ভোটাধিকার নিয়ন্ত্রণের এই প্রচেষ্টা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।


ভোটারদের উদ্দেশে লিখিত ভাষণে মঈন খান বলেন, “আপনাদের সাহসের সঙ্গে এই অবৈধ সরকারের হুমকি মোকাবেলা করতে হবে।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top